অগ্রভার পশ্চাৎভার
একদল তরুণীর মাঝখানে একজন দাইমা
তারও মাঝখানে পড়ে
আমি পথজটের চক্রব্যুহে অবরুদ্ধ ।
দাইমার দিকে চোখ রেখে জিজ্ঞেস করি –
এই নৈশভ্রমণ তো অচল হাঁটু রক্তে চিনি
মেদের মজুতদারদের জানতাম ;
মারা হাঁটে কেন ?
দাইমা হাসেন। উত্তর ও দিয়ে
দেন—
আপনারা হাঁটেন মেদ বা চিনি তাড়াবেন বলে
মা রা যে আর হাঁটতেই পারে না
অতিদ্রুত প্রগতির ফলে।
শ্রোণি ও কুচের
কাঁটাতার
অল্প বয়েসে খুব কচি শশা খেয়েছি,
কখনো ঠকিনি
--“তাই তোকেও বলছি এখন থেকেই চিনতে শেখ
বাজারে অনেক বুড়ো শশা, ভুল করিস
না, কচি খেলে তবেই না মজাটা পাবি”–
এমত উপদেশ দিয়ে মেয়েকে
স্নান করতে ঢুকে গেলেন মা
কামাখ্যা ।
মেয়ে তখন ফেসবুক চ্যাটে কাউকে
লিখছে –
“ইউ আর অ্যাজ কুল অ্যাজ
কিউকাম্বার
আই ডোন্ট লাইক, আই লাইক এ হট ডগ।’’
দুই প্রজন্ম কেউ কারো ভাষা বোঝে
না ভাষা কত বিচিত্রবাদিনী
নানা সময় নানা সুরে বেজে ওঠে।
কাঁটাতার কী শুধু সীমান্তেই!
কাঁটাতার সর্বত্র
মনে বনে সঙ্গমে -–ভালোবাসার
চ্যারিটি শো-তেও।
যুদ্ধ
এ –ও তো যুদ্ধ শুধু গোপনে
গোপনে
শয়নে স্বপনে ঢালে আর
তরোয়ালে ।
অগ্নিতেজা সূর্যাস্ত্র
যোনি ফুঁড়ে ওঠে
শ্যাম্পেন ছোটে পুরুষের
মাস্তুল থেকে ।
পাথর
যোনি বাড়িয়ে দাও তথাগতা
গাছে গাছে নেচে বেড়াচ্ছে পাথর।
তোমার আমার আমার তোমার
করে
এই ধানকলাই বাছা খেলা
বন্ধ করো
ডুব দাও নীল জলে
তুলে আনো বিষের আংটি।
পরের অন্ন খেতে খেতে
মেয়েটা মরে গেল
আর তখনই এল মেঘ
গাছে গাছে নেচে বেড়ালো পাথর।
No comments:
Post a Comment