যম
এই ব্যাস ও জামার দাগটিকে
জন্মান্তরের রাস্তা বলে ভাবি। বিবৃতির
দিকে এগিয়ে দিই মাথা। সন্দেহপ্রবন একটি পৃষ্ঠার ওপর লিখে রাখি বসত বাড়ির অটুট চিহ্নগুলি।
আধখাওয়া বাসের টিকিট, প্রলাপ ও মারীর উল্টোদিকে একটি ব্যবহৃত জানালা, যে জানালার
ওপর কাক এসে বসত, ঠুকরে দেখত মেঘ ও আঁতাতের যাবতীয় সম্ভাবনা। ঐ ব্যাস ও পরম
অর্ধটিকে আমি চোখের ওপর মেলে ধরি। অর্থবহ বর্ণের মত বুঝি দৃশ্যান্তরের অন্য একটি
পাঠ, পরিখা ও ঈশ্বর।
চারণবিধি
শুধু
একটি মাঠের প্রকল্প থেকে দূরে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে বক। গলা ঘুরিয়ে বারবার দেখে নেয় নিজস্ব ডানার স্থিতিটিকে। দেখে মাঠের খোলস,
সর্পিল রেখাটির গমন, অপ্রস্তুত হয়ে ওঠা শস্তা ফসলের টিন। প্রান্তর শব্দটিও
অনিবার্য এখানে, চালকের ভঙ্গিমায় দূরের রেললাইন। ‘গাঢ়’ শব্দটির সঙ্গে বকের ঢং জুড়ে যায়। আমি অন্য একটি অন্তর্গত শব্দের কথা
ভাবি, হাঁ করা নীলিমা আর প্রমাদবীজের উড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি।
ব্লো
আপ
দৃশ্যান্তরের
পর একটি পিঠ এগিয়ে আসে, একটি পার্শ্বরেখা, চিকন মেঘের নীচে জমে ওঠে বাষ্পজল। ঘন
হয়ে ওঠে মৃত্যুদৃশ্যটির নিজস্ব কাঁচ ও মুকুর। আশ্রিত তিল ও প্রবণতার ক্রমগুলি
ক্রমশ দীর্ঘ হয়ে ওঠে। দৃশ্যান্তরের পর আততায়ীর হাত এসে পড়ে। রহস্যপ্রণালীর আতশ, কড়হীন
আঙুলের ছাপ। খুব নীচে নেমে আসে নভতল। এগিয়ে আসে সংযোগ বাহক একটি দুপুরবেলা, পিঠের
আলস্য, ছদ্মপরাগ আর চিরে যাওয়া কালো রাস্তা।
(চিত্রঋণ : মাইকেলেঞ্জেলো আন্তোনিওনি)
'যম' ভাল লাগল।
ReplyDelete